টয়লেটে বসে মোবাইলে ১৯/২০ দেখার সময় ধরা পড়লেন সাব্বির মাহমুদ আপেল!

নগরীর এক মেসের টয়লেট থেকে সাব্বির মাহমুদ আপেল নামক এক ছাত্রকে অপ্রীতিকর অবস্থায় গ্রেফতার করেছে মহানগর পুলিশ। জানা যায় টয়লেটে বসে তিনি মোবাইলে অশ্লীল ভিডিও দেখছিলেন।

স্নাতক পড়ুয়া ছাত্র সাব্বির মাহমুদ আপেল বন্ধুদের সাথে নগরীর এক মেসে থাকেন। তার বন্ধুরা জানান, সাব্বির প্রায়ই মোবাইল নিয়ে মেসের টয়েলেটে যেত। কিন্তু তারা বুঝতে পারতো না যে, সে মোবাইল নিয়ে টয়লেটে গিয়ে আসলে কি করে!
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী সাব্বিরের খুব কাছের বন্ধু সাফওয়ান জানান, “সেদিন সাব্বির উত্তেজনার সোদনে মোবাইল নিয়ে টয়লেটে যাওয়ার সময় টয়লেটের দরজা বন্ধ করতেই ভুলে গেছে! এতেই ঘটে বিপত্তি। আমি টয়লেটে ঢুকতেই দেখি সাব্বির নাঙ্গা হয়ে দাড়িয়ে আছে। তখন তার এক হাতে মোবাইল ছিলো এবং আরেক হাত অন্য কাজে ব্যস্ত ছিলো। বিশ্বাস করেন রাসেল ভাই, ঐটা দেখার জন্য আমি মোটেই প্রস্তুত ছিলাম না।”
পরবর্তীতে সাব্বির লজ্জা পেয়ে তাড়াতাড়ি টয়লেট থেকে বের হয়ে আসে। তবে বিষয়টি জানাজানি হয়ে গেলে সেখানে পুলিশ চলে আসে।
পুলিশ এসে সাব্বিরের সবকিছু তল্লাশি করে এবং সাব্বিরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। জিজ্ঞাসাবাদে সাব্বির জানায়, তার Brazzers, Blacked, Naughty America, Pornhub, Digital Playground নামক বেশ কিছু অসামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রিমিয়াম মেম্বারশিপ আছে। সে ক্লাস ফাইভের বৃত্তির টাকা দিয়ে এবং টিফিনের টাকা জমিয়ে এসব মেম্বারশিপ কিনেছে।
এছাড়াও তার ল্যাপটপ তল্লাশি করে প্রায় ২ টেরাবাইটের মত “জাপানি কুস্তি” পাওয়া যায়। তবে এ বিষয়টি সাব্বির অস্বীকার করে বলে, “আমাকে ফাসানোর জন্য কে বা কারা আমার ল্যাপটপ হ্যাক করে ল্যাপটপে জাপানি কুস্তি ঢুকিয়ে দিয়েছে। এটা ষড়যন্ত্র। আমি এর বিচার চাই।”
তবে সাব্বির ক্যামেরার সামনে সরাসরি কোনো কথা বলতে রাজি হননি। তার ছবি তুলতে গেলে তিনি তার অপবিত্র হাত দিয়ে মুখ ঢাকার চেষ্টা করেন।(দেখুন ছবিতে)
এরপরে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়। সেখানে তাকে 6969 টাকা জরিমানা করা হয় এবং পরবর্তীতে তাকে মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়। তার ল্যাপটপের হার্ডডিস্ক, সকল প্রিমিয়াম মেম্বারশিপ এবং জব্দ হওয়া ভিডিও গুলো এখন পুলিশি হেফাজতে আছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *