বান্দরবানে ফের বন্যা, পরিস্থিতির চরম অবনতি…….জমির সোহান

বান্দরবানে ফের বন্যা পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়েছে। আবারও তলিয়ে গেছে জেলার অধিকাংশ এলাকা। বিচ্ছিন্ন রয়েছে এখনো বান্দরবানের সাথে সারাদেশের সড়ক যোগাযোগ।

শনিবার সকাল থেকে টানা ভারী বর্ষণের কারণে আর্মি পাড়া, এসপির বাংলো, ইসলামপুর, শেরে বাংলা নগর, উজানি পাড়া, মেম্বার পাড়া, ওয়াপদা ব্রীজ এলাকা, কাশেম পাড়া, বালাঘাটা, কালাঘাটা, ক্যাচিংঘাটা, বনানী সমিল এলাকা, হাফেজঘোনা, বাসষ্টেশন এলাকাসহ সদর উপজেলার বিস্তৃর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে।

এদিকে গতকাল বৃষ্টি কম হওয়াতে বন্যার পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও শনিবার সকাল থেকে ভারী বর্ষণ হওয়ার ফলে পুনরায় তলিয়ে যায় এসব এলাকা। ৫ম দিনের মত সারাদেশের সাথে বান্দরবানের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। বিশেষ প্রয়োজনে যারা যাতায়াত করছে তারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নৌকা, ভ্যান, রিক্সায় করে বাড়তি ভাড়া দিয়ে পারাপার হচ্ছে।

এদিকে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, বন্যা কবলিত এলাকার জন্য ইতিমধ্যে ৪৫০ মে:টন খাদ্য শষ্য বরাদ্দ দিয়েছে। প্রতিটি আশ্রয় কেন্দ্রে খিচুড়িসহ শুকনা খাবার ও ত্রাণ বিতরণ করা হচ্ছে। এছাড়াও সাত উপজেলায় ১২৬টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হলেও দূর্গত মানুষের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় আশ্রয় কেন্দ্রে সংখ্যা বাড়িয়ে ১৩১টি করা হয়েছে। এদিকে আশ্রয় কেন্দ্র গুলোতে ভীড় বেড়ে যাওয়ায় লোকজন বিভিন্ন আবাসিক হোটেল ও আত্মীয় স্বজনদের বাড়ীতে আশ্রয় নিয়েছে। পাহাড় ধ্বসের কারণে সড়কের উপর মাটি পড়ে থাকায় জেলার অভ্যন্তরীন সড়কগুলোতে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। ফলে জরুরী প্রয়োজন থাকলেও লোকজন জেলা সদরের সাথে যোগাযোগ করতে পারছে না। অপর দিকে জলাবদ্ধতার কারণে দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানির সংকট। তবে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে পানি বিশুদ্ধ করণ ট্যাবলেট দূর্গতদের মাঝে বিতরণ করা হচ্ছে।

বান্দরবান সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা নোমান হোসেন জানান, হঠাৎ করে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়ে পড়েছে। আমরা আশ্রয় কেন্দ্রের সংখ্যা আরো বাড়িয়েছি এবং আশ্রয় কেন্দ্রে বন্যাদূর্গতদের শুকনা খাবার ও খিচুড়ি বিতরনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। দূর্যোগ কালীন পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রশাসন সার্বক্ষনিক তৎপর রয়েছে।