বান্দরবানে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি : সড়ক যোগাযোগ বন্ধ ৮ দিন জমির সোহান

বান্দরবান জেলার ৭টি উপজেলার বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। গত সোমবার রাত থেকে বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় জেলার সাংগু ও মাতামুহুরী নদীর পানি কমে যাওয়ায় নিম্মাঞ্চলের পানি নেমে গেছে। বান্দরবান পৌর এলাকার আর্মীপাড়া, শেরে বাংলা নগর, ইসলামপুর, মেম্বারপাড়া, বালাঘাটা, কালাঘাটাসহ আশপাশের নিম্নাঞ্চলের বন্যার পানি নেমে যাওয়ায় জনজীবনে স্বস্তি নেমে এসেছে। ব্যনার পানি নামলে ও বিশুদ্ধ পানি আর খাবারের অভাব দেখা দিয়েছে।
এদিকে গত কয়েকদিনের টানা বর্ষণে নিম্মাঞ্চল প্লাবিত হয়ে বান্দরবান চট্টগ্রাম ও বান্দরবান-রাঙামাটি সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। গত মঙ্গলবার থেকে বান্দরবান-কেরানিহাট সড়কের বড়দুয়ারা নামক স্থানে সড়কে পানি উঠায় ৮ম দিনের মত বান্দরবানের সাথে সারাদেশের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে, আর এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছে স্থানীয় বাসিন্দারা।
বান্দরবান শহরের আর্মিপাড়ার বাসিন্দা মো: ইউনুস বলেন, বন্যার কারনে অনেকের কাচা ঘর পড়ে যাওয়ার কারনে আশ্রয় কেন্দ্র থেকে ঘরে ফিরতে পারছেনা।
টানা বর্ষণ আর পাহাড়ী ঢলে আতংকিত অনেক পরিবার নিরাপদে অবস্থানের জন্য বান্দরবানের ১৪৫টি আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান করছে, আর অন্যদিকে জেলা প্রশাসন, পৌরসভা, রেডক্রিসেন্ট ও সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থানরত পরিবারগুলোকে বিভিন্ন ধরনের ত্রাণ সহায়তা অব্যাহত রয়েছে।
এই ব্যাপারে বান্দরবানের পৌর মেয়র ইসলাম বেবী বলেন, পৌর এলাকার বন্যা দূর্গতদের পৌর সভার পক্ষ থেকে প্রতিবেলা খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে।
প্রবল বৃষ্টির কারণে বান্দরবানের বিভিন্ন স্থানে পাহাড় ধসে পড়ার কারনে জেলার রোয়াংছড়ি,থানচি, রুমা, লামা উপজেলার অভ্যন্তরীণ সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। শীঘ্রই সড়ক যোগাযোগ স্বাভাবিক করে যান চলাচলের উপযুক্ত করার দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের।
প্রসঙ্গত,১৯৯৭ সালের পর এতো ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়েনি বান্দরবানের মানুষ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *