জমির সোহান : বান্দরবান- বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে বান্দরবানের সাত উপজেলায় প্রায় ৩০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে বন্যার পানিতে একের পর প্লাবিত হয়েছে অভ্যন্তরীণ সড়ক ও গ্রাম।
এদিকে প্রধান সড়ক প্লাবিত হওয়ায় চার দিনেও চালু হয়নি বান্দরবানের সঙ্গে সারা দেশের সড়ক যোগাযোগব্যবস্থা।
বন্ধ রয়েছে রুমা, থানচি, রোয়াংছড়ি, লামা, আলীকদম উপজেলার সঙ্গে অভ্যন্তরীণ সড়ক যোগাযোগও।
জানা গেছে, আজ শুক্রবার সকালেও বান্দরবানে বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। গত শনিবার থেকে বান্দরবানে টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে বান্দরবান সদর, রুমা, থানচি, রোয়াংছড়ি, লামা, আলীকদম এবং নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় প্রায় ৩০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।
উপজেলা ও পৌরসভার বেশিরভাগ সড়ক প্লাবিত হওয়ায় অভ্যন্তরীণ সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।
এদিকে বন্যার পানিতে প্রধান সড়কের বাজালিয়া, দস্তিরদাহাট, বরদুয়ারা- তিনটি স্থানে সড়ক প্লাবিত হওয়ায় চার দিনেও চালু হয়নি সারা দেশের সঙ্গে বান্দরবানের সড়ক যোগাযোগব্যবস্থা। চার দিন ধরে প্রধান সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় বান্দরবানে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রসহ কাঁচামালের সংকট দেখা দিয়েছে। ব্যবসা-বাণিজ্যে নেমে এসেছে মন্দা ভাব।
জেলার সাত উপজেলায় ১২৬টি আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে হাজার হাজার পানিবন্দি মানুষ। বৃষ্টি না থামায় পাহাড়ধসের শঙ্কাও বাড়ছে। পাহাড়ধসের ঝুঁকিতে থাকার বসবাসকারীদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে মাইকিং করা হচ্ছে। উৎসঃ যুগান্তর।