রমজান মাস মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্যে এক মহান পরিপূর্ণ সওয়াব এবং সংযমের মাস। মাহে রমজানের রোজা মানুষের আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে ব্যক্তি, পরিবার ও সমাজজীবনে অত্যন্ত সুশৃঙ্খলভাবে চলার শিক্ষা দেয়। হিংসা-বিদ্বেষ, হানাহানি ও আত্ম-অহংবোধ ভুলে গিয়ে সুখী, সুন্দর ও সমৃদ্ধিশালী সমাজ প্রতিষ্ঠার মাসই হলো মাহে রমজান। উম্মতে মুহাম্মদীর নৈতিক চরিত্র উন্নত করে সাহাবায়ে কিরামের মতো আদর্শ জীবন গঠন করার প্রশিক্ষণ এ মাসেই গ্রহণ করতে হয়। রোজা মানুষকে প্রকৃত ধার্মিক হিসেবে গড়ে ওঠার সুযোগ করে দেয়। রোজাদারদের ইবাদত-বন্দেগির ভেতর দিয়ে সব ধরনের অন্যায়-অত্যাচার, অশোভন-অনাচার, দুরাচার-পাপাচার ও যাবতীয় অকল্যাণকর কাজকর্ম থেকে বিরত হয়ে সংযম সাধনার পথ ধরে মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে আত্মসমর্পণের শিক্ষা দেয়। ক্ষুধা-তৃষ্ণার কষ্ট সহ্য করে একত্রে ইফতার, দীর্ঘ তারাবি নামাজ, সেহির—এ সবকিছুর মধ্য দিয়ে একজন রোজাদার ব্যক্তি মাসব্যাপী সিয়াম সাধনার দ্বারা প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হন
এ মাসে যেমন খাওয়া দাওয়া থেকে বিরত থাকতে হয়। তেমনি খাবার দাবারের পাশাপাশি অন্যেকে গালি গালাজ থেকে বিরত থাকতে হয়। এটিই যেন রোজার প্রকৃত শিক্ষা। কিন্তু গালি দিতে পারায় ঘটেছে আরেক বিপত্তি। বারবার বাল না বলতে পারায় পেট ফেঁপে উঠছে। যার ফলে অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালের বেডে কাতরাচ্ছেন জনৈক যুবক।