নিজস্ব প্রতিবেদক, ঝিনাইগাতী, শেরপুরঃ
(৩০.০৯.২০১৭ ইং রোজ শনিবার বিকাল-২.৩০ মিঃ
শনিবার ভোর যখন ৫টা চারদিকে কোলাহলের ,চিৎকার প্রতিটি মানুষ ঘর থেকে বাহির হয়ে দেখে পানি আর পানি ।ঝিনাইগাতী বাজারে আকশ্বিক বন্যায় প্লাবিত হয়ে বাড়ি ঘর পানিতে নিমজ্জিত হয়ে যায় । উপজেলার ঝিনাইগাতী ইউনিয়ন,গৌওরিপুর ইউনিয়ন,ধানশাইল ইউনিয়ন, হাতিবান্ধা ও মালঝি কান্ধা সহ ৫টি ইউনিয়নের গ্রাম গুলোতে বন্যার পানি প্রবেশ করে প্লাবিত হয়ে হাজার হাজার মানুষ পানিতে বন্ধি হয়ে পড়ে । শেরপুর জেলার সীমান্তবর্তী ঝিনাইগাতী উপজেলায় গত ৩ দিনের প্রচুর বৃষ্টিপাতের ফলে ভারতের মেঘালয় রাজ্য থেকে বয়ে আশা পানিতে ৩০ সেপ্টেম্বর শনিবার ভোর থেকে মহারশি নদী পাহাড়ি ঢলে প্লাবিত হয়ে । রামেড়কুড়া মহারশি নদীর বাধ ভেঙ্গে ঝিনাইগাতীর তামাগাও,গরুহাটি, মসজিদ রোড,ধানহাটি,মেইন রোড,উপজেলা পরিষদ সহ সাবরেজিষ্টার অফিস,পোষ্ট অফিস, পশুহাসপাতাল,ঝিনাইগাতী হাসপাতালরোড, মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স,নার্সারী বিভাগ,কৃষি অফিস,পল্লি দারিদ্র অফিস পাবলিক হল, বাজরের এমন কোন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান নেই যে পানি প্রবেশ করেনি । প্রত্যেক দোকানে পানি প্রবেশ করে ব্যবসায়িদের মালামালের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে । খৈলপাড়া বনগাঁও,চতল, কাংশা,দড়িকালিনগর সারি কালিনগর, পাগলারমুখ, আয়নাপুর,বগাডবি এলাকা প্লাবিত হয়ে কৃষকের রোপনকৃত আমন ফসলের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে। বন্যার পানিতে হাজার হাজার মানুষ পানিবন্ধী । এই পানি আশায় আমাদের নদী তীরবর্তী বসবাসকারীদের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে। এবার এই ভয়াবহ বন্যার পানির দেখা মিলেছে ঝিনাইগাতী বাজারে । এই পানি বাজারে ও বাড়ি ঘরে প্রবেশ করে ব্যাপক ক্ষতি সাধন হয়েছে । অনেক পরিবার রান্নাবান্না না করে বিপদে পড়েছে । দুপুর ২টার দিকে সদর বাজার থেকে আকশ্বিক বন্যার পানি কমতে শুরু করেছে । ভাটি এলাকায় পানিতে বন্ধি হয়ে অনেক পরিবার জীবন যাপন করছে ।জুয়েল স্মৃতি ফাউন্ডেশনের একটি দল সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকের নেতৃত্বে বন্যায় প্লাবিত এলাকা পরিদর্শন করেন ।।জুয়েল স্মৃতি ফাউন্ডেশন মহারশি নদীর বেড়িবাধ নির্মাণ ও বাজারের প্রধান ড্রেন দুটি সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবী জানিয়েছে।
জুয়েল স্মৃতি ফাউন্ডেশনের
(সকলের তরে সকলে আমরা প্রত্যেকে আমরা পরের তরে)
ঝিনাইগাতী, শেরপুর।