শাকিল মোহাম্মাদ মিনহাজ চৌধুরী মানুষ মানুষের জন্য

বাংলাদেশের যদি কোন করোনা ভাইরাসের রুগী মারা যায়,, তাহার গোসল সহ দাফন কাপন জানাযা কর‍তে যদি কেউ ভয় পান…!!
তাহলে আমাকে অবগত করুন…!!

(আমি নিজে আসবো ওয়াদা করলাম,,বিনিময়ে আমি কিছুই চাই না)

আমার নাম- শাকিল মোঃ মিনহাজ
আমার ঠিকানাঃ চন্দনাইশ চট্টগ্রাম,
আমার নাম্বার 01856926724

আমি সাধারণ একজন ছাত্র।
কিছু সংক্ষিপ্ত কথা বলতে চাই,,সময় থাকলে পড়তে পারেন,, ধন্যবাদ…

মহান আল্লাহ আমাদের কে তাহার ইবাদত করার জন্য সৃষ্টি করেছেন,,তিনি আমাদের হায়াত মউত এবং রাযিকের সহ আসমান জমিনের সব কিছুর মালিক,,
এজন্য তিনি আমাদের কে সবসময়ে বিভিন্ন মুহূর্তে বিভিন্ন নিদর্শনের মাধ্যমে পরীক্ষা কর‍তেছেন.!!

দুনিয়ায় কিভাবে আমরা তাহার নেয়ামতের শুকরিয়া আদায় করি এবং সমস্ত ভালা মসিবতের পরিস্থিতির সময়ে ,,আমাদের মনের মানুসিক পরিস্থিতিতে মনের পরিবর্তন কেমন হয়ে যায় তা পরীক্ষা করার জন্য.,,এজন্য তিনি আমাদের কে উপহার দেওয়ার জন্য জান্নাত এবং জাহান্নাম বানিয়েছেন. !!

এজন্য পবিত্র আল কোরআন নাজিল করেছেন,, দুনিয়ায় অনেক নবী রাসুল পাঠিয়েছেন এবং শেষ নবী হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) কে মুসলমাদের কাছে তাহাকে ফলোআপ আইকন বানিয়েছেন,,,

যেনো আমরা তাহাকে ফলোআপ করি,,তিনি যা করেছেন তা বলেছেন,, তাহার দিক নিদর্শন হলো আমাদের সুন্নত…

যাইহোক আমার মুল মন্তব্য সংক্ষিপ্ত কর‍তে গিয়ে,, নামায কে সিলেক্ট করলাম,, নামায জামাতে আদায় করলে অনেক সওয়াব পাওয়া যাবে ,,তবে বিশেষ কারণে যেমন জানের ভয়ে, বা মালের ভয়ে অথবা অসুস্থ কারণে বাসায় ও নামায হবে,,

কিন্তু মহান আল্লাহ আমাদের কে উত্তম প্রতিদান দেবেন,, শুধুমাত্র মসজিদে গিয়ে জামাতের সাথে সালত আদায় করার জন্য,,
এবং জামাতে নামায আদায় না করা ব্যক্তি কে রাসুলুল্লাহ (সাঃ) পছন্দ করেন না এবং কি এব্যাপার তিনি অনেক কঠোর ছিলেন,,

যাইহোক আল্লাহর হুকুম আদায় কর‍তে হলে আমাদেরকে জামাতের সহিত অর্থাৎ জামাতের সাথে নামায আদায় করতে হবে,, এখানেই তিনি আমাদের বরকত হায়াত মউত জান্নাত জাহান্নাম, চাওয়া পাওয়ার স্থানের সুযোগ করে দিয়েছেন,, আলহামদুলিল্লাহ
আমাদের যদি কারু কিছু প্রয়োজন হয়,,আর চাইতে হয়, তাহলে যেনো একমাত্র মহান আল্লাহর কাছে চাই….

যাইহোক,, দুনিয়ায় এখন ইনসান আছেন প্রায় ৭০০ কোটির উপরে,, এরমধ্যে মহান আল্লাহ এবং রাসুলুল্লাহ কে বিশ্বাস করেন আংশিক ইনসান ,,এছাড়াও অন্তরে অন্তরে অনেকেই শিকার করে কিন্তু মুখে প্রকাশ করেনা,,যাইহোক এরমধ্যে মুসলিম আছেন প্রায় ১৫০ কোটি,, তাও আবার হেন তেন পেন আছে..??

যাইহোক,, মহান আল্লাহর পবিত্র ঘর মক্কায় কাবা শরিফ এবং মদিনা আল আকসা সহ আমার নাম না যানা দুনিয়ার সমস্ত মসজিদ একমাত্র মহান আল্লাহর পবিত্র স্তান বা পবিত্র ঘর।
(যা মুসলমানদের জন্য পবিত্র স্থান)

সেখানে আমরা নামায আদায় করবো এবং আমাদের যা যা প্রয়োজন তা মহান আল্লাহর কাছে চাইবো। সালাত একত্রে আদায় করার পর দোয়া কার কখন কিভাবে কবুল হবে তা আল্লাহ ভালো জানেন। আর নামায আদায় অবস্থায় আমাদের মউত হলে,,নিশ্চিহ্ন এব্যাপার আমার চেয়ে আপনারা আরও অনেক কিছু জানেন।

যাইহোক,, এই মুহূর্তে দুনিয়ার ,, সামান্য একটি ভাইরাসের ভয়ে,, আমার এমন ভাবে আতংকিত হয়ে গেছি,, যারজন্য আমরা নিজেরা বাচার জন্য,, আমরা আমাদের মসজিদ বন্ধ করে দিতেছি,,আল্লাহর কাছে পানা চাওয়া আর দোয়া করা বন্ধ করে,,যারা ঘরে নামায আদায় করেন,,তারা নিজদের ঘরে নিজে নিজেই নামায আদায় করতেছি.!!

এরচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা ইসলামে হয়েছে কিন্তু এই পরিস্থিতিতে এমন ইতিহাস আর হয়েছে কিনা সন্দেহ.!!

আমি জানি ,, আমার এই মন্তব্য নিয়ে অনেকে অনেক ভাবে নিবেন,, কারণ আপনার মধ্যে জানের যুক্তি আছে মালের যুক্তি আছে আরও অনেক যুক্তি আছে,,পরিশেষে বাচার ভয় আছে.! এজন্য যুক্তির অভাব নেই.!”

আরে ভাই আমি নিজেও তো বাচতে চাই,, কিন্ত মহান আল্লাহর হুকুম আদায় করা অবস্থায় তো মরতে চাই।

আমি পরিস্কারভাবে বলতে চাই,, যারা করোনা ভাইরাসের ভয়ে,, মহান আল্লাহ ঘর এবং মসজিদ বন্ধ করে দিয়ে,, নিজেদের জান মাল রক্ষার ভয়ের কারণ দেখিয়ে….
মদ মাস্তি আনন্দ ফুর্তি আর কু ব্যবসার নামে,,করোনা ভাইরাস কে ভয়ের আসল পুজি বানিয়ে একে অপর লাভজনক হতে চায়.!!

আমি শুধুমাত্র তাদের কে ইংগিত দিয়ে অবগত করতেছি যে,, দুনিয়ার সকল ভণ্ডামি এবং বাটপারির যুক্তির এবং যুক্তি কারির পাছায় এবং মসজিদ বন্ধ করে দেওয়ার ডিশিসন যারা নিয়েছেন আর যারা সাপোর্ট করেছেন তাদের পাছায় আমি হাজারো লাথি দিলাম।

এরা আমার শত্রু, তাদের সাথে যোদ্ধা ঘোষণা দিলাম।

সামান্য করোনা ভাইরাসের ভয়ে,, মহান আল্লাহর ইবাদত এর জায়গা বন্ধ করে দেও,,নিজেদের কে কিভাবে মুসলিম দাবী করো.!!

তদের আসল উদ্দেশ্য পরিস্কার অর্থ হলো তুমরা আরো বাচতে চাও,,কিন্তু কখনো এক সাথে জামাতে নামায আদায় করতে চাওনা,,মডান হতে চাও,নিজেদের নারিদের কে উনক্ত ছাড়তে চাও,,নিজেরা জাহান্নামে যেতে চাও সাথে আমাদের কেও সংগী করে নিতে চাও.!!

কারণ হলো,, মসজিদে একসাথে জামাতে নামায আদায় হবে ,, তারপর দোয়া হবে,আর সেই দোয়ায় মহান আল্লাহ এই ভাইরাসের অস্তিত্ব কে মিটিয়ে দেবেন,, এটা তুমরা চাও না

কারণ,, তাতে যদি করোনা ভাইরাসের অস্তিত্ব না থাকে ,,তাহলে এই সুযোগে নিজেরা নানান ভাবে ফায়দা লুটপাট করতে পারবেনা.!!

আর বড় বড় আদমরা বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার পাউন্ড রিয়েল দিনার রুপি টাকা মুদ্রা সহ পন্যের দাম না বাড়িয়ে ইনকাম করতে পারবেনা .!! আর দামী দামী মেডিসিনের নামে মিলিয়ন বিলিয়ন টিলিয়ন টিলিয়ন টাকার ভাগে নিজদের ভাগ বসাতে পারবে না.!!!

যারা এই ব্যবসার উদ্দেশ্য বুজার পর ও নিজেদের আশেপাশের মসজিদ মাদ্রাসা বন্ধ করে দেয়,,এবং যারা নিরবতা পালন করে,,সেই জাতি কে নিরবতায় সাপোর্ট করে,, তাদের বেচে থাকার কোন অধিকার নেই,, তারা তো সবাই মারা গেছে,, মহান আল্লাহ যেনো এই সমস্ত ব্যক্তি জান্নাত দান করুন,, কি জাহান্নামে পাঠাবেন তা,আল্লাহ জানেন।

নিশ্চয়ই মহান তাদের প্রতিদান তাদের কে সমঝাইয়া দিবেন..!! কারণ এই পরিস্থিতিতে তারা মসজিদ বন্ধ হওয়ার জন্য আফসোস করতেছেনা,বরং তাদের জানের মালে আফসোস করতেছে..!”

আমি আল্লাহর দেওয়া জান নিয়ে,, আল্লাহর হুকুম আদায় করার জন্য,,আল্লাহর কাছে সব কিছু চাইবার জন্য,,
শুধু করোনা কেনো দুনিয়ার সমস্ত ভাইরাস সংক্রমণ এক সাথে এক সময়ে আমার শরীরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকলেও আমি ভয় পাই না এবং পাবো না ইনশাআল্লাহ,, এবং আমার দেশের আইন হলেও মসজিদ বন্ধ থাকবে আমি এমন আইন মানবো না,,

আমাকে মর‍তে তো হবেই কিন্ত আমার মউত যেনো পবিত্র মসজিদেই হয়,,,

হে মহান আল্লাহ আপনি আমাকে সাহায্য করুন,, দুনিয়ার সমস্ত মানুষ কে আপনি এই রোগ দিয়ে পরীক্ষা করবেন না,,আমরা আপনার কোন পরীক্ষায় জিপিএ পাওয়ার যোগ্যতা তো দুরের কথা ফেল করার যোগ্যতার মার্ক ও আমরা পাবো না.!!

আপনি আজীম,, আপনি দয়াময়,, আপনি রহমান,, আমরা আপনার করুনা চাই, আমরা আপনার গোলাম,, এই গোলাম রা এই পরীক্ষায় ফেল করেছি এবং ফেল করবো,,
আপনি আমাদের অন্তরের সব কিছু অবগত আছেন ,, সত্যি আপনি যা জানেন তা আমরা কিছুই জানিনা এবং কল্পনা করেও জানতে বা ধারণা করতে পারবো না,,

আপনি ব্যতীত আর কেই রক্ষণশীল নেই,,আপনি অতীত বর্তমান এবং ভবিষ্যত সম্পর্কে অবগত আছেন থাকবেন, আপনি আমাদের কে হেদায়েত দিন, আপনি আমাদের কে হেফাজতে রাখুন,,

আপনি আমাদের উত্তর সুরিদের কে আপনার হুকুম আদায় করার জন্য হেদায়েত দান করুন,,আমাদের মউত যেনো আপনার ইবাদতের মধ্যেই হয়ে যায়,,আমরা অনেক বড় বড় ভুল করেছি আপনি ছাড়া আমাদের রক্ষা করার কেউ নাই,,

আপনি এই গোলাম দের ক্ষমা করুন। আমরা অবুঝ, আপনি নিজেই আমাদের পবিত্র স্থানের হেফাজত করুণ,,আপনি আমাদের মহান চিকিৎসক, আপনি আমাদের মহান মেডিসিন,, আমরা আপনার সাহায্য চাই,,আপনি আমাদের কে সাহায্য করুন,, হেদায়েত করুন হেফাজতে রাখুন,আপনি ব্যতীত আমাদের আর কেউ নেই,,আমাদের কে ক্ষমা করুন,,

এবং ইমানের অবস্থায় নামায আদায় করা অবস্থায় আমাদের মউত দান করুন,, আর আমাদের যতদিন হায়াত দিয়েছেন আমরা যেনো আপনার ইবাদত করতে পাড়ি সে সেই সুযোগ করে দিন,,আমাদের জান মালে বরকত দিন,,আপনি আমাদেরকে ক্ষমা করে দিন,, ((আমিন))

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *