নারায়নগঞ্জ কোচিং সেন্টার এর ট্রেড লাইসেন্স নেই তবুও চালিয়ে আসছে রমরমা কোচিং ব্যবসা শফিকুল ইসলাম ওরফে শফিক স্যার। এর কারনে অনেকবার জেল খাটতে হলেও তিনি থামে নি। জেলা পুলিশ জানায় তাকে এ ব্যাপারে অনেকবার সর্তক করা হলেও তিনি তার বানিজ্য থামাননি। তিনি নিজেকে ফ্রিল্যান্সার দাবি করেন। যা আইসিটির ২৩২ ধারায় মারাত্নক অপরাধ।
কয়েকদিন ধরে তিনি NCC Travels নামে একটি ট্রাভেল এজেন্সি খুলে যেখানে সে পাপ্পু ও তাইজুল নামে ২ জন সহযোগী রেখছেন। যাদের একজন ইংল্যান্ড থেকে চলে এসেছে যার সত্যতা Channel 34 News এর কাছে আসে নি। সেখানের এক স্থানীয়র মতে ইংল্যান্ড গেলে একজন কেন দেশে ফিরে আসবে?? তা সন্দেহজনক এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে পরর্বতীতে সে ভিডিওটি Delete করে দেয়। এবং তার আরেক সহযোগী তাইজুল ও একটি মামলায় জড়িত আসামী। মোট মিলিয়ে নারায়নগঞ্জ কোচিং সেন্টার একটি অবৈধ প্রতিষ্ঠানে পরিনত হয়েছে।
প্রচ্ছদআজকের পত্রিকাপ্রথম পাতা
বেপরোয়া কোচিং বাণিজ্যে নাভিশ্বাস শিক্ষার্থীদের
কোচিং বন্ধে মনিটরিং জোরদার করতে হবে-রাশেদা কে চৌধুরী * মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে পরামর্শ করে পদক্ষেপ নেব-মাউশি পরিচালক
স্কুল-কলেজের ৯৭ শতাংশই বেসরকারি। বাকি ৩ ভাগ সরকারি। এই সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের অসাধু ও বেপরোয়া শিক্ষকদের কাছে রীতিমতো জিম্মি শিক্ষার্থী-অভিভাবক। নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে শ্রেণীকক্ষের আদলে কোচিং সেন্টারগুলোতেই চলছে পাঠদান। শ্রেণীকক্ষ হয়ে পড়েছে গৌণ।
কোচিং বন্ধের নীতিমালা থাকার পরও তদারকির অভাবে গত সাড়ে ৬ বছরে তা কেবলই কাগুজে নীতিমালায় পরিণত হয়। তবে কোচিং বন্ধে সরকারের নীতিমালা বৃহস্পতিবার হাইকোর্ট বৈধ বলে রায় দেয়ার পর এটি এখন নতুন করে আলোচনায়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কোচিং বাণিজ্য নামের এই ‘ঘাতক ব্যাধি’ আজ মহামারী রূপ পেয়েছে। এটা মাদকের মতো। কোচিং বন্ধের নীতিমালা বাস্তবায়নে সারা দেশে সরকারকে মনিটরিং টিম গঠন করার আহবান জানিয়েছে শিক্ষাবিদরা। শিক্ষার্থী, অভিভাবক, শিক্ষাবিদ ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
এ নিয়ে কথা হয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরীর সঙ্গে। তিনি যুগান্তরকে বলেন, কোচিং নীতিমালা করাকে সরকারের সদিচ্ছা হিসেবেই আমরা দেখতে পারি। কিন্তু এত গুরুত্বপূর্ণ জিনিস বাস্তবায়ন ও মনিটরিং না করাটা সদিচ্ছার পরিচায়ক নয়।
তিনি বলেন, শিক্ষা ব্যয় আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে। এর প্রধান কারণ কোচিং বাণিজ্য। কোচিং ব্যবস্থা মহামারী ও ঘাতক ব্যাধিতে পরিণত হয়েছে। শিক্ষার নামে ঢালাও বাণিজ্য হচ্ছে। এটা মাদকের মতোই আমাদের গ্রাস করছে। তাই কোচিং বন্ধে প্রণীত নীতিমালা বাস্তবায়নে আন্তরিক হতে হবে মন্ত্রণালয়কে।
ভ্রাম্যমাণ আদালত শফিকুল ইসলামকে ৫ লক্ষ টাকা জরিমানা সহ ৬ মাসের জেল এর আদেশ দিয়েছেন।